অখিল
বানান বিশ্লেষণ:
অ+খ্+ই+ল্+অ
উচ্চারণ:
[অ.খিল্] [ɔ.kʰil]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
অখিল>বাংলা
অখিল
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
অ (ন) খিল
(অবশিষ্ট) যাহার /নঞ্
বহুব্রীহি সমাস।
পদ:
বিশেষণ
অর্থ:
১. যার কোনো শেষ বা অবশিষ্ট নাই।
সমার্থক শব্দাবলি: অশেষ, নিঃশেষ, নিখিল।
বিপরীতার্থক শব্দ:ভাবার্থে: খিল (অবশিষ্ট)
স্ত্রীলিঙ্গার্থে: অখিলা (স্ত্রীলিঙ্গার্থে)২. যা অবশিষ্ট নাই, অর্থাৎ ভগ্নাংশ নাই।
সমার্থক শব্দাবলি: যাবতীয়, সকল, সব, সমগ্র, সমস্ত।
যৌগিক শব্দ:
পূর্বপদ: অখিলপ্রিয়, অখিলবন্ধু, অখিলবিশ্ব, অখিলভুবন।
৩. যা পরিপূর্ণ, সকল গুণের বিচারে যাকে অতিক্রম করা যায় না।
সমার্থক শব্দাবলি: পরম, পরব্রহ্মা।
যৌগিক শব্দ:
পূর্বপদ: অখিলাত্মা, ।
পদ: বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৃথিবীসদৃশ গ্রহ | সৌরগ্রহ | গ্রহ | মহাকাশীয় বস্তু | প্রাকৃতিক লক্ষ্যবস্তু | এককঅংশ | দৈহিক-লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
অর্থ: বিশেষ অর্থে পৃথিবী।
সমার্থক শব্দাবলি: অখিল, অচলকীলা,অচলা, অদিতি, অদ্রিকীলা, অধিলোক, অনন্তা, অবনীমণ্ডল, অব্ধিদ্বীপা,অব্ধিমেখলা, অবনী, অবনীতল, আদিম, আদ্য, ইড়া, ইড়িকা, ইরা, ইলা, ইলিকা, ইহজগৎ, ইহলোক, উদধিবস্ত্রা, উর্বরা, উর্বী, কাশ্যপী, কু, ক্রোড়কান্তা, ক্ষমা, ক্ষিতি, ক্ষিতিজ, ক্ষোণি, ক্ষৌণী, ক্ষ্মা, খগবতী, খণ্ডনী, গন্ধবতী, গিরিকর্ণিকা, গো, গোত্রা, চরাচর, জগ, জগৎ, জগতী, জগদ্বহা, জাহান, জীবলোক, জ্যা, দুনিয়া, দোহিনী, দ্বিরা,ধরণী, ধরা, ধরাতল, ধরাধাম, ধরিত্রী, ধাত্রী, ধারণী, ধারতি, ধারয়িত্রী, ধারিণী, নরলোক, নিখিল, নিশ্চলা, নৃলোক, পারা, পিষ্টপ, পৃথিবী, পৃথিবীতল, পৃথিবীমণ্ডল, পৃথ্বী, বরা,বিপুলা, বসুধা, বসুন্ধরা, বসুমতী, বসুমাতা, বিশ্ব, বিশ্বম্ভরা, বীজপ্রসূ, বীজসূ, ভবলোক, ভুবন, ভুবনমাতা, ভূ, ভূখণ্ড, ভূতধাত্রী, ভূতল, ভূভাগ, ভূমণ্ডল, ভূমি, ভূর, ভূর্লোক, ভূলোক, মনুষ্যলোক, মরজগৎ, মর্ত, মর্ত্যধাম, মর্ত্যলোক, মহা, মহাকান্তা, মহী, মহীমণ্ডল, মেদিনী, রত্নগর্ভা, রত্নাবতী, রসা, শ্যামা, সংসার, সর্বংসহা, সপ্তদ্বীপা, সমুদ্রমেখলা, সমুদ্রাম্বরা, সসাগরা, সাগরনেমি, সাগরমেখলা, সাগরাম্ববরা, সৃষ্টি, সৃষ্টিতল, স্থিরা।
যৌগিক শব্দ:
পূর্বপদে অখিল: অখিলখণ্ড, অখিলবন্ধু।
সূত্র :