আত্মা
বানান বিশ্লেষণ:
আ+ত্+ম্+আ।
উচ্চারণ :
at̪.t̪ã
(আত্.তাঁ)।
আত্মা=আত্.তাঁ [ত্ম এর বাংলা উচ্চারণ হয় ত্.তঁ। পূর্বে আ ধ্বনির সাথে ত্ যুক্ত হয়ে আত্ উৎপন্ন করে। অবশিষ্ট তঁ ধ্বনি আকারের সাথে যুক্ত হওয়ার পর একাক্ষর তাঁ ধ্বনি তৈরি করে]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
आत्मा्
(আত্মা)>বাংলা
আত্মা।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ:
√অৎ
(নিয়ত গমন করা) +মন্
(মনিন্),
কর্তৃবাচ্য।
পদ :
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
প্রাণশক্তি
|
বিমূর্ত ঘটক
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
অর্থ: যা শরীরের মধ্যে ব্যাপ্ত বা সঞ্চরণ করে তাই আত্মা। এটি একটি বিমূর্ত সত্তা, বিমূর্ত ঘটক হিসেবে এর প্রকাশ প্রাণশক্তির ভিতর দিয়ে। প্রতিটি জীবদেহে আত্মা আমিত্ব রূপে প্রকাশ পায়। এই আত্মা বা 'আমি'র অংশ হিসেবে একটি অখণ্ড মন বিরাজ করে।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি ভঙ্গীতে আত্মার অস্তিত্ব নেই। কিন্তু বিভিন্ন ধর্মমতে শরীরের আত্মা একটি পৃথক সত্তা হিসেবে বিরাজ করে। ধর্মীয় আদর্শে আত্মা বিশ্বাসের বিষয়। ধর্মমতে আত্মা যতখন দেহে অবস্থান করে, ততখন জীব বেঁচে থাকে। দেহ ছেড়ে আত্মা চলে যায় একটি অতীন্দ্রিয়লোকে। জীবিত মানুষের সকল কৃতকর্মের জন্য আত্মাকে দায়ী করা হয়। ধর্মের বিধিতে যা পাপ, তার জন্য আত্মাকে শাস্তি পেতে হয়। বৌদ্ধ এবং হিন্দু ধর্মের পুনর্জন্মবাদে আত্মা বার বার জন্মগ্রহণ করে পাপের কারণে। বার বার জন্মের ভিতর দিয়ে আত্মা দুঃখ ভোগ করে এবং পরিশুদ্ধ হয়ে নির্বাণ লাভ করে।