বাহন
বানান বিশ্লেষণ:
ব্+আ+হ্+অ+ন্+অ
উচ্চারণ:
ba.ɦon
(বা.হোন্)।
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
বাহনম্>বাংলা
বাহন।
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ:
√বাহি
{√বহ্
(বহন করা)
+ই
(ণিচ)}
+
অন্ (ল্যুট),
কর্তৃবাচ্য
পদ: বিশেষ্য
১. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { | পরিবহন | যন্ত্রকরণতা | মানবসৃষ্টি | সমগ্র | দৈহিক লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}
অর্থ: মালামাল বা মানুষ যা দ্বারা বহন করা হয়। এই অর্থে হাতি, ঘোড়া, পাল্কি, বাস, ট্রেন ইত্যাদি যে কোন সত্তা হতে পারে।
সমার্থক শব্দাবলি: বাহক, বাহন।
ইংরেজি: vehicle।
২. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বাহন | পরিবহন | যন্ত্রকরণতা | মানবসৃষ্টি | সমগ্র | দৈহিক লক্ষ্যবস্তু | দৈহিক সত্তা | সত্তা |}অর্থ: কোনো কোনো বাহন নিজ শক্তিতে চলতে পারে না। এর জন্য ভিন্নতর সচলবাহন বা শক্তি ব্যবহার করা হয়। যেমন− অশ্ববাহন। পাল্কি, গরু ছাড়া শুধু গাড়ি, ইঞ্জিন ছাড়া শুধু মানুষ বা মালাবহনের জন্য ব্যবহৃত অংশ। যেমন−রেলগাড়ি। বাস, ট্রাক, জাহাজের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনসহ পুরুটুকই বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সমার্থক শব্দাবলি: গাড়ি, বাহন।ইংরেজি: vehicle।
যুক্তশব্দ:
পরপদ:
উত্তরপদ: সপ্তাশ্ববাহন।
২. ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্তা | সত্তা |}
প্রায় সকল দেশের পৌরাণিক কাহিনিতে দেবদেবীর চলাচলের জন্য অল্পবিস্তর বাহনের লক্ষ্য করা যায়। তবে হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে বাহনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সাধারণত হিন্দু ধর্মে দেবতার সাথে এর বাহনও পূজিত হয়ে থাকে। প্রায় প্রত্যেক দেবতারই কোন না কোন জীবজন্তু বাহনরূপে আছে। যেমন− ব্রহ্মার হংস, বিষ্ণুর গরুড়, শিবের বৃষ, ইন্দ্রের ঐরাবত ও মেঘ, যমের মহিষ, কার্তিকেয়ের ময়ূর, কামদেবের মকর বা টিয়াপাখী, অগ্নির ছাগ, বরুণের মৎস্য, গণেশের ইদুর, বায়ুর হরিণ, শনির গৃধ্র, দুর্গার সিংহ, লক্ষ্মীর পেঁচক, সরস্বতীর হংস, ষষ্ঠীর বিড়াল, বিশ্বকর্মার হাতী, শীতলার গর্দভ, নারদের ঢেঁকি প্রভৃতি।